মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

যদি আপনার কাছে একটি স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

১. ব্লগিং এবং ওয়েবসাইটের দ্বারা ইনকাম

আপনি কি জানেন, মোবাইল থেকে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইনে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন ? যদি না বুঝে থাকেন  তাহলে ভালো করে বিষয়টা বুঝিয়ে বলছি।

Yepp Apps থেকে টাকা ইনকাম করুন

 প্রথমে Google এর blogger.com ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফ্রি ব্লগ এবং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিবেন।

আর তারপর, যখন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট ভিজিটরস্ ট্রাফিক আসা আরম্ভ হবে তখন আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।

আপনার হয়তো এই ভাব হচ্ছে যে, মোবাইল থেকে ব্লগ বানিয়ে income করা অনেক কঠিন বা ঝামেলার কথা।

কিন্তু, তা একদম নই।

মোবাইল থেকে আপনার ব্লগ বানাতে মাত্র ১০ মিনিট লাগবে।

আর, তার পর নিজের ব্লগে ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে ব্লগে ভিজিটরস্ বা ট্রাফিক আনতে পারবেন।

ব্লগে ভিজিটরস আসা আরম্ভ হলে, Google AdSense এ নিজের ব্লগটি register করে টাকা আয় করা স্টার্ট করতে পারেন।

Google AdSense গুগলের একটি service যে আমাদের নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে text , link , video এবং image advertisements দেখিয়ে তার বিনিময়ে online income এর সুযোগ দেয়।

আজ, “ব্লগ এবং গুগল এডসেন্স” এই দুটো সার্ভিস ব্যবহার করে লোকেরা online এতো টাকা আয় করছেন যে আপনি ভাবতেও পারবেন না।

আর, আপনিও যদি ব্লগ এবং এডসেন্স এর দ্বারা income করতে চান তাহলে কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দরকার আপনার নেই।

নিজের স্মার্টফোনেই একটি ব্লগ বানিয়ে তাতে আর্টিকেল লিখে Google AdSense এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

২. YouTube channel বানিয়ে অনলাইন ইনকাম

ব্লগিং এর মতো মোবাইল থেকে অনলাইনে টাকা কামানোর জন্য YouTube channel বানানোর আইডিয়া টি বেশ অনেকটাই লাভজনক।

আজ, অনেক লোকেরা ইউটিউবে গিয়ে নিজের চ্যানেল বানিয়ে মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।

ইউটিউবে চ্যানেল বানানোর জন্য আপনার YouTube এর Website এ যেতেহবে।

YouTube.com এ গিয়ে আপনার Gmail একাউন্টের প্রয়োজন হবে।

কারণ, আমি আগেই বলেছি, “YouTube Google এর product ” আর তাই ইউটুবে লগইন করতে Gmail account ID আর password এর প্রয়োজন হবে।

নিজের Gmail account দিয়ে ইউটুবে লগইন করার পর আপনি ইউটুবে directly বা একটি আলাদা channel বানিয়ে তাতে video আপলোড করুন।

ইউটুবে চ্যানেলে ভিডিও upload করেই আপনি টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন।

এইটা মনে রাখবেন, যা যা video নিজের YouTube চ্যানেলে upload করবেন সেটা যাতে নিজের বানানো অরিজিনাল ভিডিও হয়।

যদি অন্য কারো ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে সেটা copyright ভিডিও হিসাবে ধরা হবে।

আর তাই সেই অন্যর কপি করা ভিডিও থেকে ইনকাম করার কোনো option পাবেননা।

তাই, অনেক সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে একটি YouTube channel তৈরি করে, মোবাইল দিয়েই ভিডিও তৈরি এবং এডিট করে টাকা আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে টাকা কিভাবে আয় করবে ?

আসলে, যখন আপনি ভিডিও ইউটুবে চ্যানেলে আপলোড করেন, তার পর আপনার ভিডিও ইউটুবের ওয়েবসাইটে আশা হাজার হাজার লোকেরা অনলাইন ভিউ করে বা দেখে।

আর তখন আপনার ভিডিও থেকে টাকা কমানোর সুযোগটা এসেপড়ে।

ইউটিউবে “monetization” বলে একটা অপসন রয়েছে।

এই monetization অপশন এর মাধ্যমে যখন apply করে অপশনটি enable করবেন (চালু করবেন) তখন Google AdSense এর তরফথেকে কিছু advertisements আপনার ভিডিওগুলিতে দেখানো হবে।

আর, লোকেরা আপনার ভিডিও দেখার আগে যখন ওই advertisement গুলি দেখবেন, তখন আপনি টাকা ইনকাম করবেন।

এটাই ইউটিউব থেকে অনলাইন ইনকামের উপায়।

বিশ্বাস করেন, যখন ৫০ টি ভিডিও আপলোড করে ফেলবেন আর আপনার প্রত্যেক ভিডিওতে ডেইলি ৩০ করে ভিউ হবে তখন ৫০*৩০= ১৫০০ টোটাল ভিডিও ভিউ আপনি ডেইলি পাবেন।

আর, ডেইলি যদি আপনার ভিডিও গুলি ১৫০০ বার লোকেরা দেখেন তাহলে কমেও ০.২ ডলার করে প্রতি ad view তে পেলেও ০.২*১৫০০= ৩০০ ডলার।

আপ্নে ঠিক ভাবছেন এইটা অনেকটাই ইনকাম।

যদি এক ডলার = ৬০ টাকা হয় তাহলে ৩০০ ডলার *৬০= ১৮,০০০ টাকা।

আজ অনেকেই ইউটুবে থেকে এরথেকে অনেক বেশি টাকা প্রতিদিন কামাই করছেন।

আর এগুলো সব কেবল নিজের মোবাইল থেকেই করতে পারবেন যদি আপনার কাছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই।

কিন্তু, এইটা মনে রাখবেন, এক দিনে কিছুই হয়না।

আপনার অনেক পরিশ্রম করতে হবে, মনদিয়ে এবং interest রেখে কাজ করতে হবে।

আর তখন গিয়ে আপনি এই YouTube business এ success হবেন।

৩. Short link website থেকে অনলাইন ইনকাম

আপনি কি short link ওয়েবসাইটের কথা জানেন ? যদি না, তাহলে জেনেরাখুন, নিজের মোবাইল থেকে অনলাইন ইনকাম করার এইটা অনেক সোজা এবং ১০০% সত্যির উপায়।

আপনার বেশি কিছু করার দরকার নেই।

আপনার প্রথমে কিছু short link ওয়েবসাইটে গিয়ে account রেজিস্টার করতে হবে।

কিছু trusted এবং ভালো short link ওয়েবসাইটের নাম হলো – Shorte.st, adf.ly, AL.LY, Blv.me, Linkshrink.Net ইত্যাদি।

আপনি এগুলোর যেকোনো একটা বা প্রত্তেকটাতেই account বানাতে পারেন।

এখন, এই short link ওয়েবসাইট গুলির মাদ্ধমে টাকা কিভাবে আয় করবেন সেটা নিয়ে হয়তো আপনি ভাবছেন, তাই তো ?

আসলে, এই ওয়েবসাইট গুলোকে link shortener website বলা হয়।

এখানে, আপনাকে একটা box দেয়া হয় যেখানে যেকোনো ওয়েবসাইটের URL address link টি past করে তাকে ছোট (short) করতে পারেন।

ইন্টারনেট থেকে যেকোনো আর্টিকেল, ভিডিও, গান বা যেকোনো ওয়েবসাইটের URL address কপি করে তাকে এই URL shortener ওয়েবসাইট গুলির মাদ্ধমে ছোট করে দিতে পারেন।

যেমন, আপনি যদি আমার ব্লগের কোনো একটি আর্টিকেলের URL link ছোট করেন, তাহলে সেটা দেখতে আসল URL থেকে সম্পূর্ণ আলাদা দেখাবে এবং অনেক ছোট হয়ে যাবে।

কিন্তু কথা হলো, এই URL shortener ওয়েবসাইট থেকে টাকা কিভাবে ইনকাম করা যাবে ? তাই তো ভাবছেন ?

আসলে, যখন কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগের বা ভিডিওর URL Address এই URL shortener ওয়েবসাইটে গিয়ে ছোট করবেন, তখন লিংক এড্রেস টি ছোট হওয়ার সাথে সাথে ওখানে কিছু advertisement ও লাগিয়ে দেবা হয়।

আর এর ফলে, যখন কেউ আপনার short করা (ছোট করা) URL address এ ক্লিক করবেন তখন original ওয়েবসাইটে যাবার আগে কিছু advertisement দেখানো হবে।

এখন, এর ফলে আপনাকে প্রতি valid ad view এর ওপর টাকা দেবা হবে।

কোনো কোনো Link shortener ওয়েবসাইট আপনাকে ১০০০ ভিউ তে ৫ থেকে ১৫ ডলার দেবে বা কেউ কেউ ৫ থেকে ১০ ডলার।

কিন্তু ইনকাম আপনার ভালোই হবে।

আপনি সবটা নিজের মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।

আপনার খালি, ইন্টারেস্টিঙ আর ভালো ভালো ভিডিও, আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট url address গুলো এই link shortener ওয়েবসাইট গিয়ে ছোট করতে হবে আর যতোটা সম্ভব Facebook group , WhatsApp group বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করতে হবে।

তারপর, যতোটা ভিসিটর্স আপনার লিংকে ক্লিক করে আপনার দেওয়া URL address এ যাবে তারা advertisement দেখবে আর আপনি টাকা আয় করবেন।


তো বন্ধুরা আজ এপর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।